সিরিয়ায় সেনা পাঠাতে প্রস্তুত সৌদি আরব
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
রাশিয়ার সবরকমের হুমকি-ধামকি উপেক্ষা করে সিরিয়ায় লড়াই করতে সেনা মোতায়েন শুরু করেছে সৌদি আরব। ইতোমধ্যে তুরস্কের সামরিক ঘাঁটি ইনকিরলিকে সেনা ও যুদ্ধবিমান পাঠানো শুরু করেছে তারা।
সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাত দিয়ে শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ খবর দিয়েছে।
সংবাদমাধ্যম বলছে, সিরিয়া সীমান্তের কাছে ইনকিরলিকে বেশ কিছু সৈন্য ও যুদ্ধবিমান পাঠানো হচ্ছে সৌদির পক্ষ থেকে। তবে, সৈন্য বা যুদ্ধবিমানের সংখ্যা জানায়নি কেউ।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত সাভুসোগলু বলেন, জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস দমনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ সৌদি। তারা যুদ্ধবিমান ও সেনা পাঠানোর ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
আইএস দমন ও সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সম্প্রতি রিয়াদের পক্ষ থেকে স্থল সৈন্য পাঠানোর প্রস্তাব দিলে তার সমালোচনা করে মস্কো। বৃহস্পতিবার জার্মান একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে রুশ প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ হুঁশিয়ার করে বলেন, যদি সিরিয়ায় স্থল সৈন্য পাঠানো হয় (সৌদির পক্ষ থেকে), তবে বিশ্বযুদ্ধ বেঁধে যেতে পারে।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আর কিছু বলেন নি। এর আগে সোমবার তিনি ওয়াশিংটন সফরের সময় সিরিয়ায় সৌদি সেনা পাঠানোর বিষয়ে কথা বলেছিলেন।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি সৌদি আরবের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমাদ আসিরি সিরিয়ায় সেনা পাঠানোর বিষয়ে তার দেশের প্রস্তুতির কথা ঘোষণা করেন। তিনি তার ভাষায় বলেছিলেন, সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএল বা দায়েশ-বিরোধী জোট রাজি হলে সৌদি আরব সিরিয়ায় স্থল সেনা পাঠাবে। সৌদি আরবের এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে আমেরিকা এবং বিষয়টি নিয়ে চলতি সপ্তাহে ব্রাসেলসে ন্যাটো বৈঠকে আলোচনার কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাশ্টোন কার্টার।
তবে সিরিয়া, রাশিয়া ও ইরান এ পরিকল্পনার বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ আল-মুয়াল্লেম বলেছেন, সৌদি আরব সেনা পাঠালে তা আগ্রাসন বলে বিবেচনা করা হবে এবং সৌদি আরব শুধু সেনাদের লাশভর্তি কফিন দেখবে। রাশিয়া বলেছে, সিরিয়া সরকারের বিনা অনুমতিতে সৌদি আরব সেনা পাঠালে তাকে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল বলে বিবেচনা করা হবে। আর ইরানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- সিরিয়ায় সৌদি আরব সেনা পাঠালে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের ঘণ্টাধ্বনি বেজে উঠবে।
প্রতিক্ষণ/এডি/আস